আবার [ সায়েন্স ফিকশন ]
মহাকাশযানের বিশাল মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছে রাফা।সে এই মাত্র যে মহাকাশযানটি ধ্বংস করেছে সেটি তাদের মার্স ফাইটারদেরই, যদিও তার উদ্দেশ্য ছিলো একটা শত্রু মহাকাশযান। এমনিতেই মঙ্গলের বিদ্রোহীদের মধ্যে মহাকাশযান ও প্রশিক্ষিত যোদ্ধার অভাব বিদ্যমান। এরকম সামান্য কিছু স্কাউটশিপ, যুদ্ধযান নিয়েই তারা পৃথিবীর মানুষদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করে এসেছে।তারমধ্যে এরকম আত্মঘাতী আক্রমনের জন্য তার কি শাস্তি হতে পারে তা রাফা অনুমান করতে পারছে।কিন্তু এই মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে যাওয়া যুদ্ধযানটির যোদ্ধাদের জন্য শোকে তার সব অনুভুতিগুলো অবশ হয়ে যাচ্ছে। একসাথে যাদের সাথে যুদ্ধ শিখেছে, ছোটো থেকে একসাথে যাদের সাথে মঙ্গলের সীমিত সম্পদ ভাগাভাগি করে ভোগ করেছে তাদের কাউকে হত্যা করার মনকষ্ট তার সমগ্র চেতনা গ্রাস করে ফেললো।
অনেকদিন আগের কথা।পৃথিবীতে পঞ্চম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি স্বরূপ মঙ্গলগ্রহে নির্বাসন দেয়া হয়।তাদের জন্য সামান্য সম্পদ দেয়া হয়েছিলো। মঙ্গলকে তখনো মানুষের বসবাসের পুরোপুরি উপযোগী করে তোলা হয় নি।সেইসব মানুষেরা তখন মঙ্গলের বনভূমির পরিমান বাড়ালো, প্রযুক্তির উন্নয়ন করলো। এরপর অনেকগুলো প্রজন্ম পেরিয়ে ২৫ শতকের শেষে এসে তাদের সভ্যতা বেশ উন্নত হয়ে উঠলো।কিন্তু পৃথিবীর মানুষেরা তাদেরকে কখনো ভালো থাকতে দেয় নি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তারা মঙ্গলের সীমিত সম্পদ জোর করে নিজেদের করে নিচ্ছিলো।তার প্রতিবাদ করতেই আজ তারা বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে।পঞ্চম বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর সব দেশ এখন একটা দেশে পরিনত হয়েছে।তাদের সবার এখন একটাই আতংক এই মার্চ ফাইটার রা।এখন তারা শুধু নিজেদেরকে পৃথিবীবাসির শোষণ থেকেই রক্ষা করে না মাঝে মধ্যে পৃথিবীতেও আক্রমন করে।তাদের সাহস আর শৃঙ্খলা তাদেরকে ভয়ংকর করে তুলেছে।
মনিটর থেকে চোখ নামালো রাফা।শত্রু মহাকাশযান গুলো পৃথিবীতে ফিরে গেছে।মহাকাশযানের অভাবে তারা ওদের পিছনে ধাওয়া করতে পারে নি।কন্ট্রোল রুম থেকে বেরিয়ে ছোটো হলরুমের মধ্যে এসে দাড়ালো সে।মঙ্গলীয় যোদ্ধাদের রবোট ছিলো তাদের জন্য অপ্রতুল আর রাফা খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলো বলে সে তাকে সহায়তার জন্য কোনো রবোট বা সহকারী নেয় নি। তাদের যোদ্ধাদের মধ্যে অনেকেই মনে করে তাদের নেতা হেটফিল্ডের পরেই রাফা সবচেয়ে ভয়ংকর মঙ্গল সেনা। কিন্তু আজকের ঘটনার পরে তাকে কি শাস্তি দেয়া হবে সে বুঝতে পারছে না।
তীক্ষ্ণ সাইরেনের মত করে এলার্ম বাজছে। রাফা সম্বিত ফিরে পেয়ে স্ক্রিনের দিকে তাকালো।নিকটস্থ ফোবস মহাকাশকেন্দ্র থেকে তাদের নেতা হেটফিল্ড তার সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করছে।রাফা যোগাযোগ স্থাপন করতেই সামনে হেটফিল্ডের হলোগ্রাফিক ছবি ভেসে উঠলো....
- ক্যামন আছো রাফা?
- ভালো নেই,দোষটা আমারই ছিলো।
- হা হা। ভয় পাচ্ছো নাকি অনুশোচনাবোধ?
- ভয় যে করছে না তা না। কিন্তু নিজের কাজের জন্য খারাপ লাগছে।
- শুধুই খারাপ লাগছে! তুমি জানো তুমি কি করেছো? সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার মত অপরাধ করেছো।
- আমি মঙ্গলের আইনকে শ্রদ্ধা করি। আমার শাস্তি আমি মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত।
- তুমি আমাদের সবচেয়ে বিচক্ষণ যোদ্ধাদের একজন।তোমার কাছ থেকে এরকম কিছু আশা করি নি।
- ( মুখে সামান্য হাসি ফুটিয়ে তুললো রাফা)
-আমাদের অনেক সাফল্যে তোমার অবদান আছে। কিন্তু এটা তোমাকে শাস্তি থেকে বাঁচাতে পারবে না। আমাদের আইন - শৃঙ্খলা, নিয়ম কানুন পৃথিবীর মত সহজ নয়।
- (আবার ও ছোটো করে হাসি ফুটিয়ে তোলে রাফা)
- আমাদের প্রচলিত মৃত্যুদণ্ড খুব কষ্টেরসাথে দেয়া হয় জানো নিশ্চয়। কিন্তু তোমাকে একটা ছার দেয়া যাক। বেছে নাও কিভাবে মারা যেতে চাও!
- মাথায় গুলি করে মারার মত আদিম পদ্ধতি ই আমার পছন্দ।
- ঠিকাছে।তোমাকে আর ১২ ঘন্টা সময় দেয়া হলো। এর মধ্যে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে দেখতে পারো। যদিও সেটা অসম্ভব। হা হা..
-আমি সেটা জানি।আমি কখনো এমন ভুল করবো না হেটফিল্ড।
- বিদায় ....
সামনে থেকে হেটফিল্ডের হলোগ্রাফিক ছবিটি চলে গিয়ে দেয়ালটা দৃশ্যমান হলো। রাফা জানে এখন তার মৃত্যু আটকানোর সাধ্য কারো নেই।সে পৃথিবীতে যেতে পারবে না। মহাকাশেও বেচে থাকতে পারবে না। তখন তার মৃত্যু হবে আরো ভয়ংকর। রাফা মৃত্যু নিয়ে ভয় পাচ্ছে না। তাদের মত যোদ্ধাদের সেই ভয় থাকতেও হয় না।কিন্তু সে ত্রিসাকে নিয়ে ভাবছে। সে যখন থাকবে না তখন ত্রিসা কিভাবে একা থাকবে!
ত্রিসা তার জেটটি মহাকাশযানের ডেকে রেখে ভিতরে প্রবেশ করলো। কন্ট্রোলরুমে রাফা তার জন্য অপেক্ষা করছে।
- ক্যামন আছো ত্রিসা?
- ভালো নেই। লাইয়ুন তার যুদ্ধযানসহ ধ্বংস হয়ে গেছে।জানো নিশ্চয়!
- হু। আমিই করেছিলাম ওটা...
- কি! তুমি করেছিলে!! কিভাবে? তুমি সত্যিই এটা করেছো রাফা?
- দুর্ঘটনা বশত হয়েছে। আমার কিছুই করার ছিলো না।
অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ত্রিসা। তার চোখে পানি ছলছল করতে থাকে। "তুমি জানো তোমার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে এখন! "
ত্রিসার দিকে তাকিয়ে রাফা উত্তর দিলো" হ্যা জানি। এবং সেটা আর ১০ ঘন্টার মধ্যেই দেয়া হবে। তোমার সাথে আমার এটাই শেষ দেখা"
ত্রিসা বসে পরলো কন্ট্রোল প্যানেলের উপরে "কি বলছো তুমি! "
"যা বলছি সব সত্যি।কিভাবে বলা উচিত ছিলো আমি জানি না।হেটফিল্ড আমার সাথে যোগাযোগ করে আমাকে আমার শাস্তি জানিয়েছে।ইতিমধ্যে হয়ত কাউকে আমাকে হত্যার জন্য পাঠিয়েও দিয়েছে।"
ত্রিসার দিকে তাকিয়ে রাফা উত্তর দিলো" হ্যা জানি। এবং সেটা আর ১০ ঘন্টার মধ্যেই দেয়া হবে। তোমার সাথে আমার এটাই শেষ দেখা"
ত্রিসা বসে পরলো কন্ট্রোল প্যানেলের উপরে "কি বলছো তুমি! "
"যা বলছি সব সত্যি।কিভাবে বলা উচিত ছিলো আমি জানি না।হেটফিল্ড আমার সাথে যোগাযোগ করে আমাকে আমার শাস্তি জানিয়েছে।ইতিমধ্যে হয়ত কাউকে আমাকে হত্যার জন্য পাঠিয়েও দিয়েছে।"
একটা ঠান্ডা ক্রুসনার মিনিমিসাইল এসে যেনো বিধলো ত্রিসার বুকে। "রাফা আমি তোমাকে ছারা কিভাবে থাকবো!"
"জানি না আমি।কিন্তু তোমার আর কিছু করার নেই"অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে উত্তর দিলো রাফা।
"না আছে।তুমি আমাকে লক করে দাও।তোমার সাথে আমিও মরে যাবো।প্লিজ...." কাঁদতে কাঁদতে অনুরোধ করলো ত্রিসা।
"উহু, মোটেও এমন কিছু আমি করবো না। আমাকে ভুলতে না পারলে তুমি মঙ্গলে ফিরে আমার স্মৃতিগুলো নষ্ট করে দিও।"
রাফার ঘারে হাত রেখে ত্রিসা বললো, আমি এটা করবো না। তুমি না চাইলেও আমি লক করে নিচ্ছি। তুমি নিশ্চয় চাইবেনা আমি অনেক কষ্ট নিয়ে বেচে থাকি!
"তাই বলেছিলাম মঙ্গলে ফিরে আমার স্মৃতিগুলো মুছে ফেলো তোমার মস্তিষ্ক থেকে।আমার শেষ ইচ্ছে টুকু সত্যি করবে না তুমি? আমি তোমাকে আমার সাথে মরতে দিতে পারি না" কাঁপা গলায় বললো রাফা।
রাফার অনুরোধে হার মানে ত্রিসা...
"ঠিকাছে আমি মঙ্গলে ফিরে যাবো। কিন্তু তোমার স্মৃতি নিয়েই বেচে থাকবো। যত কষ্টই হোক আমি তোমাকে ভুলতে চাই না। হেটফিল্ডের দন্ডাদেষ আটকানোর কোনো রাস্তা নেই। থাকলে আমি জীবন দিয়ে হলেও সেটা করতাম।" বলে রাফাকে জরিয়ে ধরলো ত্রিসা।
"আমি জানি ত্রিসা। কিন্তু তোমার এখন এখানে থাকা ঠিক হবে না। তুমি তোমার মহাকাশযানে ফিরে যাও। তাছারা তুমি নিশ্চয় তোমার সামনে আমাকে মরতে দেখতে চাও না! "
ত্রিসা কোনো কথা না বলে উঠে দাড়ালো। রাফার গালে আলতো করে হাত ছুঁয়ে ডেকের দিকে আগাতে লাগলো।
"জানি না আমি।কিন্তু তোমার আর কিছু করার নেই"অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে উত্তর দিলো রাফা।
"না আছে।তুমি আমাকে লক করে দাও।তোমার সাথে আমিও মরে যাবো।প্লিজ...." কাঁদতে কাঁদতে অনুরোধ করলো ত্রিসা।
"উহু, মোটেও এমন কিছু আমি করবো না। আমাকে ভুলতে না পারলে তুমি মঙ্গলে ফিরে আমার স্মৃতিগুলো নষ্ট করে দিও।"
রাফার ঘারে হাত রেখে ত্রিসা বললো, আমি এটা করবো না। তুমি না চাইলেও আমি লক করে নিচ্ছি। তুমি নিশ্চয় চাইবেনা আমি অনেক কষ্ট নিয়ে বেচে থাকি!
"তাই বলেছিলাম মঙ্গলে ফিরে আমার স্মৃতিগুলো মুছে ফেলো তোমার মস্তিষ্ক থেকে।আমার শেষ ইচ্ছে টুকু সত্যি করবে না তুমি? আমি তোমাকে আমার সাথে মরতে দিতে পারি না" কাঁপা গলায় বললো রাফা।
রাফার অনুরোধে হার মানে ত্রিসা...
"ঠিকাছে আমি মঙ্গলে ফিরে যাবো। কিন্তু তোমার স্মৃতি নিয়েই বেচে থাকবো। যত কষ্টই হোক আমি তোমাকে ভুলতে চাই না। হেটফিল্ডের দন্ডাদেষ আটকানোর কোনো রাস্তা নেই। থাকলে আমি জীবন দিয়ে হলেও সেটা করতাম।" বলে রাফাকে জরিয়ে ধরলো ত্রিসা।
"আমি জানি ত্রিসা। কিন্তু তোমার এখন এখানে থাকা ঠিক হবে না। তুমি তোমার মহাকাশযানে ফিরে যাও। তাছারা তুমি নিশ্চয় তোমার সামনে আমাকে মরতে দেখতে চাও না! "
ত্রিসা কোনো কথা না বলে উঠে দাড়ালো। রাফার গালে আলতো করে হাত ছুঁয়ে ডেকের দিকে আগাতে লাগলো।
"ত্রিশা" পিছন থেকে ডাকলো রাফা। ত্রিশা ঘুরে দাড়ালো। তার চোখ বেয়ে অঝোরে পানি পরছে।
নিজেকে সামলে নিতে নিতে রাফা বললো "আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। ত্রিসা, ভালো থেকো তুমি ।বিদায়........"
দ্রুত ঘুরে ডেকে চলে এলো ত্রিসা। রাফার সামনে দাড়িয়ে থাকতে পারছিলো না সে। যাকে সেই ছোটোবেলা থেকে ভালোবেসে এসেছে তার মৃত্যু ত্রিসা কিভাবে সৈহ্য করবে সে জানে না।
নিজেকে সামলে নিতে নিতে রাফা বললো "আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। ত্রিসা, ভালো থেকো তুমি ।বিদায়........"
দ্রুত ঘুরে ডেকে চলে এলো ত্রিসা। রাফার সামনে দাড়িয়ে থাকতে পারছিলো না সে। যাকে সেই ছোটোবেলা থেকে ভালোবেসে এসেছে তার মৃত্যু ত্রিসা কিভাবে সৈহ্য করবে সে জানে না।
রাফা তার কক্ষে শুয়ে আছে। ত্রিসাকে নিয়ে তার কত স্বপ্ন ছিলো। এলিয়েঞ্জ লেকের কাছে তারা বাসা বাঁধবে।লেকের কৃত্রিম স্বচ্ছ পানিতে সাঁতরাবে। দূরের পাহাড়ে বেরাতে যাবে।কালো আকাশের দিকে তাকিয়ে দুজন গল্প করবে।কিন্তু সব কিছুর শেষ হতে চলেছে। আর কয়েক মিনিটের মধ্যেই সে জড় বস্তুতে পরিনত হতে যাচ্ছে। তার সাথে সাথে কি তার স্বপ্নগুলোও ধ্বংস হয়ে যাবে! না যাবে না। রাফা জানে ত্রিসা সেগুলোকে বাঁচিয়ে রাখবে। ভাবতে ভাবতে তার চোখ ছলছল করে ওঠে।কখনো সে কাঁদেনি, আজ ও কাঁদবে না। কিন্তু তার চোখদুটো যেনো কোনো বাধা মানছে না...
রাফা তার শেষ সময়ে ত্রিসার উদ্দেশ্যে কিছু শেষ কথা লিখলো। নিজের মৃত্যুটাকে খুব সাধারণ করতে চাচ্ছে রাফা।তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই অনেক আবেগময় একটা নোট সেন্ড করলো ত্রিসার কাছে। এরপর ত্রিসার কি হবে রাফা জানে না। সে তার যুদ্ধযান থেকে সব রকম যোগাযোগব্যাবস্থা বন্ধ করে দিলো।আর কখনো কারো সাথে তার যোগাযোগ হবে না।
রাফা চেয়েছিলো পৃথিবীবাসির সাথে যুদ্ধ না করে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ব্যাপারটা শেষ করতে। পৃথিবীবাসিও হয়ত এখন সেটা মেনে নিতো কিন্তু হেটফিল্ড সেটা কখনো হতে দেয় নি। তারপর অনেক যুদ্ধ হয়েছে অনেক প্রান নষ্ট হয়েছে। এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার নয়।রাফা মঙ্গলকে রক্ষার জন্য তার সব উৎসর্গ করতে পারে। এইসব ফাইটারদের সে অনেক ভালোবেসেছিলো। এখন মৃত্যুর আগে তাদেরকে ছেরে যেতে ইচ্ছে করছে না তার। কিন্তু কিছুই করার নেই।
একটা জেট এসে থামলো। ডেক থেকে মহাকাশযানে প্রবেশের গেট রাফা খুলে দিলো। জেট থেকে ক্রাউস আর লুভেন নেমে এলো। এরা হেডফিল্ড এর বিশ্বস্ত, রাফা এদেরকে চেনে। রাফা হাতের ঘড়িতে দেখলো আর মাত্র দুইশ পঞ্চাশ সেকেন্ড বাকি আছে তার মৃত্যুর। রাফা হলরুমে বসে আছে। সে প্রস্তুত, অনুভুতিগুলো সব অকেজো হয়ে গেছে যেনো।
ক্রাউস আর লুভেন দ্রুত হলরুমে প্রবেশ করে রাফার সামনে দাড়ালো। "আমরা কখনো ভাবি নি এটা হবে " কাপা গলায় বললো ক্রাউস।
ক্রাউসের ঘারে হাত রাখতে রাখতে রাফা বললো"কেউ ই ভাবে নি।কিন্তু আমাদের মেনে নিতে হবে এটা। তোমরা যে জন্যে এসেছো সেটা করো। "
ক্রাউসের ঘারে হাত রাখতে রাখতে রাফা বললো"কেউ ই ভাবে নি।কিন্তু আমাদের মেনে নিতে হবে এটা। তোমরা যে জন্যে এসেছো সেটা করো। "
"তুমি গত কিছু ঘন্টাধরে যোগাযোগ বন্ধ করে রেখেছো। আমরা অনেক চেস্টা করেছি তোমার সাথে যোগাযোগের। না পেরে শেষে এখন তোমার কাছে আসলাম" ভরসাহীন কন্ঠে লুভেন বললো।
রাফা একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো"কি হয়েছে লুভেন? "
"পৃথিবী থেকে আসা যুদ্ধযানগুলো আমাদের রাডার ফাকি দিয়ে ফোবস মহাকাশকেন্দ্রে আক্রমন করেছে।"
বিস্ময়ের ধাক্কাটা সামলে নিলো রাফা "মানে! কখন? "
" কিছুক্ষন আগেই। আমরা ভেবেছিলাম ওরা পৃথিবীতে চলে গেছে। তাই কোনো প্রস্তুতিও ছিলো না ওদের থামানোর।"
"হেটফিল্ড! সে কিছু করতে পারেজ নি? "
"ওই মহাকাশকেন্দ্রের কেউ ই বেচে নেই। হেটফিল্ড ও না। আমরা এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। তাই তোমার কাছে এসেছি। "
"আমার কাছে ক্যানো? " অবাক হলো রাফা।
"তুমি ছারা এখন আমাদের নেতৃত্ব দেয়ার আর কেউ নেই।এখন থেকে তুমিই আমাদের নেতা। মঙ্গলের সবাইই এটা মানবে।"
পিছন থেকে ত্রাউস এসে বললো "আমরা এখন কি করবো নেতা? "
রাফা একটু সময় নিলো" কিছু না। সবাই মঙ্গলে ফিরে যাবো এখন। সেখানে গিয়ে পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করবো আমরা।যুদ্ধ আমি থামাবো"
ক্রাউস আর লুভেন এর মুখে হাসি ফুটে ওঠে।তারা পুরো মঙ্গলে খবর পাঠিয়ে দেয় রাফা তাদের নেতা হতে রাজি হয়েছে।পুরো মঙ্গলে নেমে আশা শোক এই খবরে কাটতে শুরু করেছে।রাফা হঠাৎ করে আবিষ্কার করলো তার মধ্যেকার ভয়টা এখনো কাটেনি। কাটবেই বা কি কিভাবে! সামনে যে তার অনেক বড় কাজ বাকি রয়ে গেছে।
বিস্ময়ের ধাক্কাটা সামলে নিলো রাফা "মানে! কখন? "
" কিছুক্ষন আগেই। আমরা ভেবেছিলাম ওরা পৃথিবীতে চলে গেছে। তাই কোনো প্রস্তুতিও ছিলো না ওদের থামানোর।"
"হেটফিল্ড! সে কিছু করতে পারেজ নি? "
"ওই মহাকাশকেন্দ্রের কেউ ই বেচে নেই। হেটফিল্ড ও না। আমরা এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। তাই তোমার কাছে এসেছি। "
"আমার কাছে ক্যানো? " অবাক হলো রাফা।
"তুমি ছারা এখন আমাদের নেতৃত্ব দেয়ার আর কেউ নেই।এখন থেকে তুমিই আমাদের নেতা। মঙ্গলের সবাইই এটা মানবে।"
পিছন থেকে ত্রাউস এসে বললো "আমরা এখন কি করবো নেতা? "
রাফা একটু সময় নিলো" কিছু না। সবাই মঙ্গলে ফিরে যাবো এখন। সেখানে গিয়ে পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করবো আমরা।যুদ্ধ আমি থামাবো"
ক্রাউস আর লুভেন এর মুখে হাসি ফুটে ওঠে।তারা পুরো মঙ্গলে খবর পাঠিয়ে দেয় রাফা তাদের নেতা হতে রাজি হয়েছে।পুরো মঙ্গলে নেমে আশা শোক এই খবরে কাটতে শুরু করেছে।রাফা হঠাৎ করে আবিষ্কার করলো তার মধ্যেকার ভয়টা এখনো কাটেনি। কাটবেই বা কি কিভাবে! সামনে যে তার অনেক বড় কাজ বাকি রয়ে গেছে।
ক্রাউস আর লুভেন চলে যাওয়ার সাথে সাথেই আরেকটি জেট এসে থামলো।ত্রিসা নেমে এলো ভেতর থেকে।
কন্ট্রোলরুম...
কন্ট্রোলরুম...
"মহামান্য রাফা! কি করছেন আপনি?" হাসি আটকাতে আটকাতে বললো ত্রিসা।
"ত্রিসা! মহামান্য বলছো ক্যানো! " অভিমানের সুরে অভিযোগ করে রাফা।
"আমাদের নতুন নেতাকে মহামান্য বলবো না! " রাফার উপরে ঝাঁপিয়ে পরতে পরতে বললো ত্রিসা।
"ওই। ছাড়ো.... আগে মঙ্গলে ফিরে নেই তারপর" ঠোট বাকিয়ে হাসি ফুটিয়ে বললো রাফা।
"আচ্ছা। কিন্তু একটুখানি তো....... .................. " লজ্জায় বলতে পারলো না ত্রিসা। 3:)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন