মীর জাফরের বংশধর
নাজাফি বংশের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মীর জাফর। যার পুরো নাম সূজা উল মূলক হিশাম উদ-দৌলা মীর মোহাম্মাদ জাফর আলি খান মহব্বত জঙ। বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক এই মীর জাফরকে কে না চেনে!!! পরবর্তিতে তাদের বংশধরেরা তাই তাদের নামের পদবি পরিবর্তন করে মির্জা রাখে।
এই নাজাফি বংশের শেষ নবাবের নাম ছিলো মনসুর আলী খান। তার ছেলে হচ্ছে সাইয়্যেদ মুহাম্মদ ফতেহ আলী যিনি ইস্কান্দার মির্জার বাবা। হিসেব করে দেখা যায় ইস্কান্দার মির্জা মীর জাফরের চতুর্দশ পুরুষ।
ইসকান্দার মির্জা ১৯৫৮ সালে দেশে সামরিক শাসন জারি করে।এটাই ছিলো পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম সামরিক শাসন। কিন্ত তিনিও বেশদিন ক্ষমতা দখল করে রাখতে পারেন নাই। বিশ্বাসঘাতকের প্রথম পুরুষ ও চতুর্দশ পুরুষ উভয়েই দেশের বারোটা বাজিয়ে গেছেন কিন্তু কেউই ক্ষমতা দখল করে রাখতে পারে নি।
ইস্কান্দার মির্জা বাঙালি ছিলেন।সেনাবাহিনীর চৌকষ সেনা কর্মকর্তা জেনারেল ইশফাকুল মজিদ একজন বাঙালী ছিলেন এবং যোগ্যতা ও সিনিয়রিটির বিচারে তারই পাকিস্তানের প্রথম সেনাপ্রধান হওয়ার কথা ছিলো। অথচ ইস্কান্দার মির্জা এক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করে এবং লিয়াকত আলী খাঁনকে কুমন্ত্রণা দিয়ে, বাঙালী জেনারেল ইশফাকুল মজিদকে বাদ দিয়ে আইয়ুব খানকে পাকিস্থানের প্রথম সেনাপ্রধান করেন।
মজার ব্যাপার হলো,এই আইয়ুব খানের হাতেই ইস্কান্দার মির্জা উৎখাত হন।বৃটিশরা যেরকম মীর জাফরকে বিশ্বাস করে নি তেমনি আইয়ুব খান ও ইস্কান্দার মির্জাকে বিশ্বাস করতে পারে নি।
জীবনের শেষ দিনগুলোতে তিনি ইংল্যাণ্ডেই ছিলেন।১৯৬৯ সালে ইস্কান্দার মির্জা মৃত্যুবরণ করে।
জীবনের শেষ দিনগুলোতে তিনি ইংল্যাণ্ডেই ছিলেন।১৯৬৯ সালে ইস্কান্দার মির্জা মৃত্যুবরণ করে।
মীর জাফরের অন্যান্য বংশধরদের মধ্যে আরো আছেন...
-মীর রুহুল আমীন ওরফে চোখা মিয়া যিনি কিনা একজন বিশিষ্ট পাকিস্তানী দালাল এবং রাজাকার।
-মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর , মীর রুহুল আমীনের সন্তান। বর্তমান বিএনপি নেতা ।
- মীর্জা গোলাম হাফিজ
-মীর রুহুল আমীন ওরফে চোখা মিয়া যিনি কিনা একজন বিশিষ্ট পাকিস্তানী দালাল এবং রাজাকার।
-মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর , মীর রুহুল আমীনের সন্তান। বর্তমান বিএনপি নেতা ।
- মীর্জা গোলাম হাফিজ
অর্থাৎ , মীর জাফরের বংশধরেরা এখনো আছে যারা তার পূর্বপুরুষদের বদআদর্শ ধরে রেখেছে। নবাবের আদর্শ ধরে না রাখা নিয়ে আফসোস নাই কারন নবাব সিরাজউদ্দৌলা মোটেই আদর্শবান নবাব ছিলেন না। মদ আর নারীতে ডুবে থাকা একজন নবাবের আদর্শ ধরে রাখলেই বরং ভয়ংকর ব্যাপার হত।
বাঙলাদেশের বর্তমান রাজনীতিকে অনেকটা সে সময়ের সাথে তুলনা করা যায়। একদল মীর জাফরের মত দেশের অমঙ্গলকামী অন্যদল নবাবের মত ক্ষমতার যত প্রকার নষ্ট ব্যবহার সম্ভব তা নিয়ে ব্যস্ত। এখন ইংরেজদের ভূমিকায় কে আসবে সেটা নিয়ে ভাবা যেতে পারে।
বাঙলাদেশের বর্তমান রাজনীতিকে অনেকটা সে সময়ের সাথে তুলনা করা যায়। একদল মীর জাফরের মত দেশের অমঙ্গলকামী অন্যদল নবাবের মত ক্ষমতার যত প্রকার নষ্ট ব্যবহার সম্ভব তা নিয়ে ব্যস্ত। এখন ইংরেজদের ভূমিকায় কে আসবে সেটা নিয়ে ভাবা যেতে পারে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন